দিনটাই কুপা😑

814 Words
এইতো সেদিন নাদিয়া,মিতা প্রিয়া বসে বসে মেসেন্জারে ভিডিও কলে কথা বলতেছে,কিন্তু দেখা গেল যে প্রিয়ার মন খারাপ,ও কোন কথাই বলছে না। তো কি করবে এখন।বান্ধবীর তো মন ঠিক করতে হবে। এজন্য তারা ঠিক করলো,কোথাও থেকে ঘুরে আসবে। কিন্তু কোথায় যাওয়া যায়। আর কোথাও যদি যাইতে হয় তাদেরকে সকাল সকাল বাইর হতে হবে যেখানে নাদিয়ার ফ্যামিলি থেকে কোথাও যেতে দেয় না। আর তারপর হচ্ছে ওদের প্রাইভেট আছে।ক্লাস চলতেছে আরেকটা কথা হচ্ছে ওর একটা কোর্স করতেছে। ১০০ টাকা করে দেয়া হয় প্রতিদিন।এটা সরকারের পক্ষ থেকে শেখানো হচ্ছে।ক্লাস না করলে তো টাকা পাওয়া যাবে না।আর শুধু তিনজন গেলে তো হবে না আরো কয়েকজন নিতে হবে।নাদিয়া,লিখা,প্রিয়া,সুপ্তিতা,মিতা,সিফাত,মিহি ও রাকা।কোথায় যাবে পরের দিন প্লান করলো।সবাই জামা পরে বের হলো।প্রথমে তারা সেলাই ক্লাসে গেলো যেনো ১০০ টাকা মিস না হয়।ক্লাস চ্লতেছে।৯ :৩০ তখন।তাড়াতাড়ি বের না হলে বাসায় আসতে দেরি হয়ে যাবে,যেহেতু কারো পরিবার এই জানেনা।ম্যাম কে তো যেভাবে হোক কিছু বুজিয়ে বের হতে হবে। ম্যামের কাছে যায় কোনো ভাবে বুঝিয়ে সবাই হাজিরা টা দিয়ে বের হয়ে গেল। মহিপাল অপেক্ষা করতেছে। ওরা চিটাগংয়ের বাসে উঠলো।গাড়ির মধ্যে প্লান করতেছে কোথায় যাবে।কেউ বলছে মহামায়া যাবে।আবার কেউ পার্কে। আবার কেউ ঝর্ণায় যাবে।সব শেষে ঠিক হলো এরা সীতাকুণ্ড নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় যাবে।১২:৪০ এ ওরা গাড়ি থেকে নামলো।ওইখান থেকে খাওয়ার জন্য কিছু নিলো।অনেক দুর হেটে যেতে হবে।কারন এখানে গাড়ি নেই।যাইতে যাইতে সবাই কিছু ছবি তুললো।হঠাৎ যাওয়ার পথে ওদের মধ্যে লিখার পিরিয়ড হই গেলো।মেয়েটা জানতো না আজকে তার পিরিয়ডের তারিখ।কি করবে।হালকা ব্যাথাও হচ্ছে।তাও হাটতেছে।ওইখানে আবার ট্যুর লাভার দের জন্য দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।একটা হোটেলে ডুকলো।মহিলাকে জিজ্ঞেস করল যে এখানে খাওয়ারের আইটেম কি রকম তো মহিলা বলল যে কি এখানে আপনি খাওয়ার আইটেম ভালো পাবেন আমরা দুপুরের খাবার একজনের ২০০ টাকা করে রাখি আপনি এখানে মুরগি পাবেন ডাল পাবেন। ওদের কাছে এতটাকা করে নাই ওরা বলল যে কি আমরা সব ১৫০ টাকা করে দিব রাখবেন। মহিলাটা রাজি হলোনা।একটু তর্ক করে বের হয়ে চলে আসলো। একটু আসার পর প্রিয়ার মনে হইল যে ও ছাতাটা রেখে আসছে বৃষ্টির দিন ছাতা লাগবে। তো ও অনেক দূর হাটার পরও সবাই অনেক কষ্ট হচ্ছে যেহেতু আবার লিখার পিরিয়ড তো আবার ওরা ওই দোকানটাতে গেল গিয়ে দেখল ছাতাটা নাই। মহিলাকে জিজ্ঞেস করতেছে ছাতাটা কোথায় মহিলা বলতেছে আমি তো এখানে কোন ছাতা দেখি নাই। কাউকে চিনি না তর্ক করে লাভ নাই ওরা সবাই ভেবে নিল যে আমরা ওখানে হয়তোবা অর্ডার করি নাই যে এজন্য আমাদের ছাতা লুকিয়ে ফেলছে। কিছুক্ষণ আসার পর ওরা আরেকটা হোটেল দেখতে পেল ওখানে ঢুকলো পরিবেশটা ঠিক আছে খাবারটা দামাদামি করার পর ওরা বলে যে কি ঠিক আছে আমরা আপনাদেরকে ১২০ টাকা করে দিব সমস্যা নেই, আপনারা যেহেতু স্টুডেন্ট মানুষ আপনারা ঠিক আছে দুপুর তিনটার সময় আসেন এসে আমরা রান্না করে ফেলবো আপনারা খেয়ে যাবেন। ওখানে অর্ডার করে চলে গেল কিছুক্ষণ যাওয়ার পর অবশেষে কাউন্টারে আসলো।ঝর্ণায় যাওয়ার জন্য টিকেট কাটতে হয়। কাউন্টারের লোকরা বলল একজনের টিকেট কাটতে হচ্ছে ৪০০ টাকা আর আপনাদেরকে ওইখানে গার্ড নিতে হবে যেহেতু এখানে বিপদ হতে পারে।কোন ভরসা নেই অনেক খারাপ ছেলে থাকে।যেহেতু আপনাদের সাথে কোন ছেলেও নেই।ওরা বান্ধবীরা মানতে রাজি না কারণ আমাদের কাছে এত টাকা নাই আমরা নিজেদের সেভ করতে পারবো আমাদের লাগবে না কিন্তু কাউন্টারের লোক গুলো ওদেরকে যেতে দিচ্ছে না বলতেছে যে না আপনারা যদি টাকা না দেন গার্ড না নেন আপনাদেরকে আমি যেতে দিব না দেরি হয়ে যাচ্ছে ওরা কি করবে ওদের কাছে এত টাকাও নাই অনেক তর্ক করতেছে বলতেছে আমার আব্বু ওইটা ফেনীর ধমক দিচ্ছে পরে কিছু টুরিস্ট বলতেছে ওরা আমাদের বোনের মত সমস্যা নাই।আমরা ওদেরকে সেভ করব। লোকটা যেতে দিচ্ছে না ওরা সবাই এর পর ১০০ টাকা করে সাতজনে মিলে কিছু টাকা দিয়ে গেলো।কাউন্টারের লোকগুলো তো রেগে আছে ওদের উপর।অবশেষে ওদের প্রিয় ঝর্ণাট সামনে হাজির হলো।ওখানে টোটাল সাতটা জন্য আছে। ছবি তুললো কিছু ছোট ছোট ছেলে এলাকার ওদের গায়ের উপর আসি পরতেছে যেহেতু ওরা মেয়ে মানুষ আরেকজনের পিরিয়ড ইতিমধ্যে আরো একজন অসুস্থ হয় গেলো।অবস্থা খারাপ হচ্ছে। সবাই ছবি তুলছে।কি সুন্দর রোমান্টিক দৃশ্য।ওরা আরেকটা ঝর্ণায় গেলো।কিছুক্ষণ পর ছেলে গুলা লিখার গায়ের ওপর লাফ দিয়ে পড়তেছে।লিখার পিরিয়ড তার উপর এসব।ও মাথা গরম করে একটা ছেলেকে ঠাস করে চড় মারলো।ছেলেটা কিছু না বলে চলে গেল।কিছুক্ষণ পর কতগুলা ছেলে সহ দামা চুরি নিয়ে লিখাকে মারার জন্য আসছে।আমরা সবাই ভয়ে কি করবো।লিখা কে কয়েকজন চেপে ধরলো আর মারার জন্য হাত বেঁধে পেললো।একজন ওর চুল ধরে কয়েকটা থাপ্পড় মারলো।আমরা কান্না করতেছি।ক্ষমা চাচ্চি।পরে কিছু ভাইয়া এসে কোনোভাবে আমাদের বাচাইলো। আমরা অনেক কষ্টে কাউন্টারে আসি লিখাকে নিয়ে।কি হওয়ার কথা আর কি হলো।যাকে লিখা মারছে ওই ছেলে কাউন্টার মালিকের ভাগিনা।আমারা সবাই ওনাকে বিচার দিলাম।উনি রেগে আগুন। এতো বড় সাহস।ওনারা আমাদের মেহমান।আপা আপনারা যান আমি দেখতেছি বিষয়টা।ওরা সবাই হোটেলে গেলো।সবার মন খারাপ।কোনো মতে খেয়ে টাকা দিয়ে বের হবে এমন টাইমে চিল্লাচিল্লি শুনা যাচ্ছে।গিয়ে দেখলো ছেলে টাকে গাছের সাথে বেধে ওর মামা মারতেছে।খালি গায়ে ছিলোকেটে গেছে।সবাই গেলো।ছেলের মা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে কান্না করতেছে।লিখা বললো মারবেন্না।ও ছোট মানুষ ভুল করছে।মামা ছেলেটাকে দিয়ে ওদের কাছে মাফ চাওয়াইলো।৪ টা বেজে গেছে।তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে।ওরা রওনা দিলো।হঠাৎ মাঝরাস্তায় ওদের গাড়ি নষ্ট হয় গেলো।এদিকে লিখার অবস্থা খারাপ।জামা রক্তে ভিজে গেছে।কোনো মতে আরেকটা গাড়ি করে সবাই বাসায় পৌছালো।সকালে খবর নিয়ে জানতে পারলো সবাই অসুস্থ। জ্বর আসছে,শরীরের ব্যাথায়।কোর্সের ম্যাম নাকি গেছে ওরা ক্লাস ফাকি দিছে যে।তাই ওনি হাজিরাটা দে নাই।দিনটাই কুপা
Free reading for new users
Scan code to download app
Facebookexpand_more
  • author-avatar
    Writer
  • chap_listContents
  • likeADD