"সেদিন রাতে রাকিব নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ....
মাঝরাতে রাকিবের ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাকিব চোখ খুলে দেখে সে তার রুমে নেই। রাকিব প্রথমে ভাবলো সে ভুল দেখেছে। তারপর তার চোখ ভালো করে ঢলা দিলো। আর সামনে তাকিয়ে দেখে, সে পড়ে আছে সেই পরিত্যাক্ত প্রাসাদে। যেখানে সে একবছর আগে তার প্রেগন্যান্ট গার্লফ্রেন্ড নীলাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। ভয়ে রাকিব আঁতকে উঠে । রাকিব ভাবছে সে এখানে আসলো কিভাবে। সে তো তার রুমে ছিলো। এসব ভাবতে ভাবতেই,
রাকিবের কানে ভেসে আসলো, অদ্ভুত সুরে ডাকা বাবা ডাক। কেউ রাকিব কে বলছে
" বাবা, ও বাবা দেখো আমি ফিরে এসেছি। আমি তোমার কাছে ফিরে এসেছি।
তারপর রাকিব যা দেখলো, তাতে রাকিবের আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
চলবে.......??
অনুশোচনা। বরং রাকিব খুশী এইভাবে যে, এই একবছরে কেউ জানতেই পারেনি, রাকিব তার প্রেগন্যান্ট গার্লফ্রেন্ড নীলাকে খুন করেছে। এমনকি নীলার বাবা-মা জানেই না যে, নীলা মারা গেছে।
ভাবছেন এটা কীভাবে সম্ভব?? মেয়ে মারা গেছে একবছর। অথচ মা-বাবা জানেই না, তাদের মেয়ে মারা গেছে। হ্যা এমনটাই ঘটেছে। আমি যখন রাকিবের মুখে এই ঘটনা প্রথম শুনেছিলাম। তখন আমিও আপনার মতো অবাক হয়েছিলাম। রাকিব নীলাকে মারার জন্য একটা মাষ্টার প্লেন করেছিলো। জানেন হাসান ভাই এটা রাকিব কীভাবে করেছিলো?? (নাহিদ নামের একটা লোক, তার বন্ধুর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করছে আমার কাছে)
একবছর আগে
এক রাতে রাকিব নীলাকে কল করে। নীলা ফোন রিসিভ করতেই রাকিব বলে উঠে:
নীলা আমি বাড়িতে তোমার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাড়ির কেউ তোমাকে মেনে নিবে না। বাবা তোমাদের মতো গরিব ঘরের মানুষের সাথে সম্পর্ক করবে না।
নীলা রাকিবের কথা শুনে কেঁদে কেঁদে বলে: তাহলে আমার কি হবে রাকিব?? আমার গর্ভে তো তোমার সন্তান। তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে তো আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। এই মুহূর্তে আমার বাড়ির কেউ জানেনা, আমি প্রেগন্যান্ট। কিন্তু তারা খুব শ্রীঘ্রই জানতে পারবে। আর তখন বাবা আমায় মেরে ফেলবে। প্লীজ তুমি এমনটা করো না।
আমি তোমাকে বিয়ে করবো না, সেটা তো বলিনি। আমি প্রতিষ্ঠিত হলেই তোমাকে বিয়ে করবো। কিন্তু এখন সম্ভব না। তাই তোমাকে এই বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতে হবে।
এটা তুমি কি বলছো রাকিব। আমার গর্ভে তোমার ভালোবাসার চিহ্ন। আমি সেটা নষ্ট করে ফেলবো??
হবে?
কমেন্ট করে জানান