ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে,, ঘটেছিল অসিমপুর গ্রামে,, সেখানে একটি সুন্দর মেয়ে ছিল, নাম তার সামিরা,, সে খুব ভীতু ও সাহসী মেয়ে সিলো,,কিন্তু তাদের গ্রামে আশেপাশে আর কোন গ্রাম নাই খুব ভয়ানক গ্রামটি তাদের, কিন্তু গ্রামের 30 কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম আছে,কিন্তু সামিরা জানেনা ওই গ্রামে গেলে তার কি হবে,,হঠাৎ এক দিন সে অসুস্থ হয়ে পড়ল, আশেপাশে কোন রিকশা নাই, রাত আনুমানিক প্রায় একটা,, কিন্তু তাকে যেভাবে হোক যেতে হবে,, তারপর সামিরা একা একা অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যাইতেছে, কিন্তু ওই রাস্তার বাম পাশে ছিল কবরস্থান, গ্রামের লোকেরা বলে থাকে মাঝেমধ্যে কবরস্থান থেকে ভয়ংকর ভয়ংকর আওয়াজ শোনা যায়,, কিন্তু সামিরা জানে না,, ওই পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ কবরস্থানের পাশে একটা মহিলা দাঁড়িয়ে আছে..সামিরা যখন হঠাৎ আওয়াজটা শুনলো, সে খুব ভয় পেয়ে গেল, দেখল যে একটা সাদা কাপড় পরা মহিলা দাঁড়িয়ে আছে, এবং ভয়ংকর কন্ঠে কান্না করতেছে, কিন্তু সামিরা জানেনা যে আজকে তার শেষ রাত, ওই ভয়ংকর মহিলাকে দেখে নদীর তীরে রওনা হলো, নদীর ঐ পারে ছোট্ট একটি গ্রাম সেখানেই মাত্র একটি হসপিটাল, প্রায় নদী থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হসপিটালটি প্রায় তিন ঘণ্টার মতো লাগে, তারপর সামিরা নদীর পাড়ে আসলো দেখল আশেপাশে কোন নৌকা নেই, হঠাৎ সে বাম পাশে দেখতে পেল একটি নৌকা আসতেছে, দূর থেকে বেশি বুঝাই যায় না, তারপর নৌকাটি তার সামনে আসলো এবং সামিরা কে বলল মা তুমি কি ওইপারের হসপিটালে যাবা, আমি এসেছি তোমাকে নিতে, এই কথা শোনার পর সামিরা আরো ভয় পেল, সে তো তাকে জানাইনি, তারপর সামিরা জিজ্ঞেস করল, আমি তো তোমাকে জানাইনি তুমি কেমন করে জানলা যে আমি হসপিটালে যাব, কিন্তু ওই বৃদ্ধ মহিলা কিছু না বলে তাকে নৌকায় উঠতে বলল, তারপর সামিরা ভয়ে ভয়ে নৌকায় উঠলো, কিন্তু সামিরা জানেনা আসলে এই বৃদ্ধ লোকটি কে, তারপর সামিরা যখন নৌকাতে উঠলো তখনই হঠাৎ চতুরপাশ দিয়ে অন্ধকার মেয়ে কালো বাতাস শিয়ালের ডাক, সামিরা জিজ্ঞেস করল তুমি ঘুমটা মুখে দিয়ে আছেন কেন, তারপরে বৃদ্ধ মহিলাটি বলল তুমি কি দেখতে চাও আমি কে, সামিরা বলল কে তুমি, তারপর মহিলাটি বলল আমি তোর মৃত্যু,, তোর হার হাড্ডি আমি খেয়ে ফেলবো, অনেকদিন ধরে কিছু খাইনি, তোকে আজকে মরতে হবে, যে একবার এই নৌকাতে উঠে শে আর কখনো বেঁচে ফিরে যাইতে পারে না,, তারপর ছামিরা বলে আমার মৃত্যুর অধিকার তোকে দিলাম।
চলবে?