আমার বান্ধবী তিশা, কলেজের সুন্দর আর হ্যান্ডসাম সিনিয়র ভাইয়ার(রাসেল) প্রেমে পড়ে।যার কোনো এক্স বা প্রেজেন্ট কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই।এমনকি কোনো মেয়ের সাথে কথাও বলেনা।ঠিকমতো তাকায় ওনা।সবার চোখে বীর পুরুষ।আরো মিউজিক করে,সাথে রাজনীতি। যে কেউ ওনাকে পাইতে চাইবে। বান্ধবী কোনো ভাবে তার ফেসবুক আইডি বের করে এসএমএস করলো।হাই,হেলো।কথা হয়।ভাগ্য ক্রমে কিছু দিন পর ভাইয়ার জন্মদিন,কেক কেটে উইশ করলো।এই সুভাদে তার সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব করে নিলো।যাচ্ছে সুন্দর করে দিন,দেখাও হয় মাঝে মাঝে।কথা বলতে বলতে তিশা ভাইয়ার প্রেমে পড়ে গেলো।কেন পরবেনা।সত্যি বলতে ভাইয়া কে আমার ও ভালো লাগতো।লাজ্জা লাগতো তাই কথা কম বলতাম।তো ওদের দেখা হচ্ছে, আড্ডা হচ্ছে। ভাইয়ার সব বন্ধরা জানলো তিশার ব্যাপারে।।তিশা অনেক খুশি।একদিন তিশা আমাকে নিয়ে গেল জোর করে রেস্টুরেন্টে। আমার তো সে কি লজ্জা। খাইতেও পারতেছিনা।ভাইয়ার সাথে ও আরো ঘনিষ্ঠ হয় গেলো।জরাই ধরলে আর চারতোই না।
ও মনে মনে ভাবছে কিছুদিন যাক প্রপোজ করবো।কিন্তু রাসেল নিজেই ওরে প্রপোজ করলো।বাহ ওদের মধে অন্য কিছুও হলো।তিশা যে ওকে ভালোবাসে,বাধা দেয়নি।একদিন ওরা ঘুরতে গেলো।হঠাৎ একদিন দুপুরে কল আসে তিশার মোবাইলে,হ্যালো কে,???
জ্বি আমি রুমা,তুৃমি কি তিশা?
জ্বী।আপনি?
আমি রাসেলের গার্লফ্রেন্ড। ওর থেকে আপনার নাম্বার নিছি।আপনি রাসেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করেন।ওর সাথে আমার আজকে ২ মাস প্রেম আর প্রিজিকেল রিলেশন ও হইছে।আমারা দুজন দুজন কে অনেক ভালোবাসি।পরিণতি খারাপ হবেকিন্তু ওরে কল দিলে।তিশার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।যাকে এতো ভালোবাসি তার নামে কি শুনছি এসব।তিশা কিছুই বলেনাই।রাসেল কে কল দিলো।রাসেল বলে আমি ব্যস্ত।পরে কথা বলবো।সারাদিন তিশা শুধু কান্না করছে। আবার রাসেলকে কল দিলো।ওর মোবাইল বন্ধ।আর
রাসেলের যোগাযোগ নাই।খবর নাই।খুব মিস করছে তিশা রাসেলকে ।তার কিছু দিন পর আরেকটা কল, আমি মিতু
রাসেলের গার্লফ্রেন্ড আমাদের আজকে৩ মাস রিলেশন।
তিশা কি করবে বুঝতেছে না।খাওয়া দাওয়া অফ।
কি শুনছে এসব।
রাসেলের বাসায় গেলো
রাসেল কেমন জানি ওরে না চিনার ভান করতেচে।রাসেলকে জিজ্ঞেস করলো এসব কি শুনছি।সত্যি সব।। রাসেল বললো
সরি আমি তোমাকে না রুমা কে ভালোবাসি।তোমাকে ভালো লাগতো তাই কথা বলছি।আমাকে মাফ করে দাও।তিশা রাসেলের সব ফ্রেন্ডকে জানালো এগুলো,সবার ধারনা পাল্টে গেলো।রাসেলকে থাপ্পড় মারলো তিশা।বাসায় গিয়ে হাত কেটে কান্না করছে।মেনে নিতে পারছে না এসব।।পরে ওর ভাইয়া ওর আম্মু আব্বু সব শুনে ওকে অনেক মারলো।অনেকেই ব্যাপার টা জেনে গেলো।তিশার কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো।।অসুস্থ হয়ে গেলো তিশা। প্রায় ১ মাস পর আস্তে আস্তে ও সুস্থ হলো। রাসেলের আর কোন খবর নাই।ভালো মানুষ সাজা সেই রাসেল সবার কাছে খারাপ হই গেলো।আমার ও রাসেল রে এখন আার ভালে লাগেনা